০১। মহাদেবপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারঃ ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয়ের দিনে স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা এবং সুধীজনদের সহায়তায় নওগাঁ জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর পাশে অবস্থিত বর্তমান শহীদ মিনারটি গড়ে উঠেছে। এটি বর্তমানে অত্যন্ত সুন্দর রূপ লাভ করেছে।
০২। আলতাদীঘিঃ রাইগাঁ ইউনিয়নের মাতাজী হাটের পশ্চিম দিকে মাতাজী-বিজয়পুর রোডের দক্ষিণে এবং সারতা গ্রামের উত্তরে স্মরণকালের ইতিহাস খ্যাত আলতাদীঘি মহাদেবপুর এর জমিদার বংশের পূর্ব পুরুষ শ্রী নয়ন চাঁদ রায় চৌধুরীর সময় সাময়িক কালের শ্রী রঞ্জন রায় কর্তৃক খননকৃত। আলতাদীঘি খনন বিষয়ে এলাকায় প্রবোদ রয়েছে। শ্রী রঞ্জন রায়ের কোন সন্তান না থাকায় তিনি তাঁর স্ত্রীকে কথা দেন যে, শুকনো মাটিতে দীঘি কেটে তিনি পুকুর বানাবেন তাহলে তার মনোস্কাপনা পূর্ণ হতে পারে। হয়তো এ রকম কোন কারণেই দীঘিটি খননকৃত। অতীত আছে রঞ্জন রায়ের স্ত্রী শ্রীমতি আলতা রাণীর নাম অনুসারে এ দীঘির নামকরণ করা হয়েছে। বর্ষকালে এটি এক নয়ন আভীরাম দৃশ্যে পরিনত হয়।
০৩। ভীমসাগরঃ মহাদেবপুর উপজেলা সদর হতে প্রায় ৫ কিঃ মিঃ পূর্বে এবং নওগাঁ-মহাদেবপুর রোড সংলগ্ন শিবরামপুর মোড় হতে মাত্র ৫০০ গজ উত্তরে ভীমসাগর অবস্থিত। এর পাশে বকাপুর গ্রাম। ভীমপুর সাগর পূর্ব-পশ্চিমে দীর্ঘ ও উত্তর-দক্ষিণে চওড়া। পাড় ও জলাশয়ের আয়তন ৬৪ বিঘা। এ ভীমসাগরের ধার ঘিসে এককালের বিখ্যাত ভীমের জাঙ্গাল রংপুর জেলার ডোমার রেলস্টেশন অভিমুখে গিয়েছিল। এরপর জাহাঙ্গীর বাঁধ সম্প্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে আত্রাই নদীর পূর্ব তীর বরাবর জাহাঙ্গীর বাঁধ নির্মিত হয়। দ্বাদশ শতাব্দীতে বরেন্দ্র রাজা দীব্যকের ভ্রাতুসপুত্র ভীম বরেন্দ্র সিংহাসনে আরহণের পর পত্নীতলার মধ্য দিয়ে ভীমের জাঙ্গাল পর্যন্ত এ বাঁধকে সংযুক্ত করা হয়।
০৪। জমিদার বাড়ীঃসম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে মহাদেবুর উপজেলায় সম্রাটের সৈনিকদের একটি দূর্গ ছিল এবং এই এলাকাতেই বাড়ী এমন কতিপয় ব্যক্তি এ সৈন্যবাহিনীর সদস্যও ছিলেন। তৎকালীন সময়ে সৈন্যবাহিনীর সদস্য বিরেশ্বর রায় চৌধুরী বংশধর নারায়ন রায় চৌধুরী জমিদারী লাভ করেন এবং ইংরেজ কর্তৃক রায় বাহাদূর উপাধিপ্রাপ্ত হন। রায় বাহাদুর নারায়ন রায় চৌধুর স্ত্রী ছিলেন রাজ রাজেস্বরী দেবী চৌধুরাণী। বর্তমানে জমিদার বাড়ীর মূল ফটোক এবং একাংশ জাহাঙ্গীরপুর সরকারি কলেজের সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
০৫। আত্রাই নদীর উপর বেইলী ব্রীজঃ আত্রাই নদীর উপর অবস্থিত মহাদেবপুর সদরকে খাজুর-চাঁন্দাশ এবং হাতুড় ইউনিয়নকে সংযোগকারী এ বেইলী ব্রীজটি নদীর পাড়ে উত্তর-পশ্চিম পাড়ে সৌন্দর্য বর্ধন করেছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS